ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম 2023। দেখুন তালাক দেওয়ার সঠিক নিয়ম

4.8
(2705)

ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম: আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ জীবনে লাইফ পার্টনারের সাথে চলার পথে ছোটখাটো ঝামেলা অথবা বড় ঝামেলায় অনেক সময় আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত পৌঁছে যায় আর তখন আমাদের স্বামী বা স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে ডিভোর্স পেপার জমা দিতে হয়।

আর ডিভোর্স পেপার জমা দেওয়ার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি ডিভোর্স পেপার লেখা আর আমরা অনেকেই ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম ও তালাক দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানিনা। তাই কিভাবে ডিভোর্স পেপার লিখতে হয়। তাই আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম কিভাবে ডিভোর্স পেপার কিভাবে লিখবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত একটি আর্টিকেল।

আরো পড়ুনঃ কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়?

একই সাথে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম, কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম, স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম সহ আরো কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব আপনি যদি ডিভোর্স পেপার লেখার পদ্ধতি সম্পর্কে না জেনে থাকেন বা তালাক দেওয়ার উপায় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম
ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম

ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম ২০২৩

বাংলাদেশ বিবাহ বিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ডিভোর্স পেপার লিখতে হাই কোর্ট থেকে অনুমোদিত ডিভোর্স পেপার নিয়ে বরাবর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, স্বামী বা স্ত্রীর নাম, এবং তালাকপ্রার্থীর বাবা ও মায়ের নাম, সাথে থানা ও জেলার নাম লিখে যার নিকট ডিভোর্স পেপার লেখা হবে তার নাম সহ তার বাবা-মায়ের নাম এবং ডিভোর্স দেওয়ার কারণ উল্লেখ করতে হবে। সবশেষে স্বামী এবং স্ত্রীর সিগনেচার দিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে ডিভোর্স পেপার জমা দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম কোনটি?

উপরের দিকে আমরা খুবই সংক্ষেপে ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি আমরা নিচের দিকে আমাদের আর্টিকেলে ডিভোর্স পেপারের একটি ছবি উল্লেখ করে দিব যেখান থেকে আপনি একটি ডিভোর্স পেপার লিখতে কি কি লাগবে সবকিছুই জানতে পারবেন এবং কিভাবে ডিভোর্স পেপার লিখবেন সেই সম্পর্কেও সেই একটি ফটো দেখলেই বুঝতে পারবেন।

তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৩
তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

স্বামী বা স্ত্রীকে তালাক দিতে ১৯৭১ সালের মুসলিম পরিবারের আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে তিনটি ডিভোর্স লেটার জমা দিতে হবে সাথে ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে সঠিক সমঝোতা না হলে বিচ্ছেদের কারণ এবং স্বামী বা স্ত্রীর বসবাসকৃত এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন কাউন্সিলর, কর্পোরেশন মেয়র, কর্তৃক তালাক নোটিশ পাঠাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বই কোনটি?

তালাক নোটিশ জমা দেওয়ার পরে অফিস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন কাউন্সিলর সহ সিটি কর্পোরেশন একটি সমাবেশের আয়োজন করে তাদের মধ্যে একটি সমঝোতা বজায় করার চেষ্টা করবে এবং তখন যদি তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে যায় তাহলে আর তালাক দেওয়া হবে না।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মেয়র সালেহা বিনতে সিরাজ সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে তালাক দেওয়ার আগে স্বামী বা স্ত্রী যদি কাউন্সিলর কর্তৃক অথবা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্তৃক তালাক নোটিশ পাঠায় তাহলে যদি তাদের বাসায় গিয়ে একটু সমঝোতা আনার জন্য চেষ্টা করা হয় তাহলে খুবই ভালো হয়।

কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৩
কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিতে বাংলাদেশ হাইকোর্ট থেকে ১৯৬১ সালের আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা না হলে ৩০ দিনের তিন দফায় কোর্টে তালাক নোটিশ পাঠাতে হবে। কাজিবা রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃক অনুমতি নিয়ে তালাকের জন্য একটি বৈধ কারণ দেখাতে হবে।

আপনি যদি কোর্টে মাধ্যমে তালাক দিতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের দিকে সবগুলো নিয়ম মেনে এবং যদি কোন নিয়ম অ্যাড হয় তাহলে সেই নিয়মটি ও মানতে হবে কারণ যে কোন সময় এই নিয়ম পরিবর্তন হতে পারে তবে যেহেতু ১৯৬১ সাল পর্যন্ত এই নিয়মে চলে আসছে তাহলে আরো অনেক দিন নিয়ম চলবে।

আর যেহেতু বাংলাদেশের বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমাণ খুবই বেড়ে গিয়েছে তাই কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে কারণ এখন খুব সহজেই আপনি রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমেও চাইলে তালাক নামায় সাইন করে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবেন।

স্ত্রী তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

স্ত্রীকে তালাক দিতে প্রথমেই তালাক দেওয়ার ঠিক কারণ দেখাতে হবে। এবং রেজিস্ট্রি অফিস অথবা হাইকোর্ট বা ইউনিয়ন কাউন্সিলর সিটি মেয়রের কাছে তালাক নোটিশ পাঠাতে হবে ৩ দফায় ৩০ দিনের মধ্যে এবং ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী বা স্ত্রীর সমঝোতা না হওয়ার কারণ তালাক না হয় উল্লেখ করতে হবে।

তালাক মানে হচ্ছে একটি ভাঙার আবেশ আর একজন স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে যখন সমঝোতা বজায় না থাকে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যদি ঝগড়া হয় তাহলে একটি সময় তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা চলে আসে আর বাংলাদেশে অনেক সময় দেখা যায় অনেক স্ত্রী অনেক স্বামীর উপর টর্চার করে আবার অনেক স্বামী স্ত্রীর উপরে টর্চার করে।

আরো পড়ুনঃ ১০০০ টাকার মধ্যে বিয়ের গিফট

তবে কোন স্বামী যদি স্ত্রীর উপর টর্চার করে অথবা স্ত্রী যদি স্বামীর উপর টর্চার করে তাহলে ডিভোর্সের কথা না ভেবে প্রথমেই আইনের আওতায় শামীম ভাই স্ত্রীকে এনে যদি সমঝোতা আসা যায় তাহলে আগে সমঝোতায় আসাটাই হচ্ছে বেটার সলিউশন।

মুখে তালাক দেওয়ার নিয়ম

স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে অমিল হলে বা সমঝোতায় না আসলে লিখিত/মৌখিকভাবে স্বামী যদি স্ত্রীকে তিন তালাক/বাইন তালাক বলে তাহলেই তাহলেই মৌখিকভাবে স্ত্রীর তালাক হয়ে যায় তবে বাংলাদেশের অনেক পুরুষই রয়েছে এরকম ভাবে স্ত্রীকে অনেক সময় তিন তালাক বলে দেয় কিন্তু দেখা যায় পরের দিন আবার সেই স্ত্রীর সাথেই সে মিলে যায়।

তবে তার স্ত্রীর সাথে সেভাবে মেলা কোনভাবেই কাম্য নয় কারণ তিন তালাক বললেই তার আইন অনুযায়ী তালাক হয়ে যায় তবে যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিনিয়তই আইন জারি হচ্ছে তাই কখন কোন আইন পাশ হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

আমি যতটুকু জানি ততটুকুই এই আর্টিকেলে লেখার চেষ্টা করেছি তবে এর থেকেও যদি আরও কোন আইন থেকে থাকে বা ভালো কোন আইন পাস হয়ে থাকে অবশ্যই আমরা আমাদের আর্টিকেলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করব।

স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম

১৯৬১ সালের মুসলিম আইন অনুযায়ী স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। তবে মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন- ১৯৩৯ অনুযায়ী কোন মহিলা এক বা একাধিক কারণে আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারবেন। যদি চার বছর পর্যন্ত স্বামী তার স্ত্রীর কোন খোঁজ খবর না রাখে তাহলেও স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারবে।

স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেওয়ার আরও কয়েকটি নিয়ম রয়েছে চলুন আমরা এবার স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে হলে কি কি নিয়ম রয়েছে বা তালাকের কোন পর্যায়ে গেলে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য বৈধ আইন পাস হবে।

  • যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীর চার বছর যাবত কোন খোঁজ খবর না নেয়
  • দুই বছর যাবত স্বামী তার স্ত্রীকে ভরণ পোষণ না দিতে পারলে
  • ১৯৬১ সালের মুসলিম আইন অনুযায়ী বর্তমান স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করলে
  • কোন স্ত্রীর স্বামী সাত বছর যাবত আইনত অপরাধের জন্য কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলে
  • কোন কারণ ছাড়াই স্বামী স্ত্রীর প্রতি কোনো ভালোবাসা না দেখালে
  • কোন স্বামী পুরুষত্বহীন হলে বা তৃতীয় জেন্ডার এর মানুষ হলে
  • স্ত্রীর প্রতি স্বামীর খারাপ আচরণ করলে

উপরের দিকে আমরা কয়েকটি ক্রাইটেরিয়া দিয়েছি যেখানে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য এর মধ্যে যদি কোন একটি উপায় দেখে তাহলে যে কোন একটি উপায়ের মাধ্যমে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।

তবে উপরের নিয়ম গুলো মেনে যদি কোন স্ত্রী তালাকের জন্য আবেদন করে কিন্তু তালাক আবেদনপ্রাপ্ত অবস্থায় যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে আবার মেনে নেয় বা তার স্ত্রীকে আগের অবস্থায় ফিরে পেতে চায় তাহলে কোন ভাবেই তালাক হবে না।

বউ তালাক দেওয়ার নিয়ম

উপরের দিকে আমরা স্বামী বা স্ত্রীর তালাক দেওয়ার নিয়ম এবং কিভাবে তালাক নোটিশ পাঠাতে হয় এই সকল বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি আপনি যদি অসহায় হয়ে বা বিপদগ্রস্ত হয়ে আপনার বউকে তালাক দিতে চান তাহলে উপরের আলোচিত নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনার মধ্যেও কোন নিয়ম মিলে যায় তাহলে আপনি আপনার বউকে তালাক দিতে পারেন।

তবে তালাক বিষয়টা যেহেতু খুবই দুঃখজনক আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে বা বউকে তালাক দিতে চান তাহলে অবশ্যই তালাক দেওয়ার আগে হাজার বার ভেবেচিন্তে তালাক দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করবেন কারণ একটি মানুষের প্রথম ভালোবাসায় হয় মেইন ভালোবাসা আর এই ভালোবাসার মানুষকে যদি আপনি তালাকপ্রাপ্ত করেন তাহলে আপনার জীবন থেকে সুখ শান্তি অনেক দূর হয়ে যাবে।

তবে বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে দেখা যায় খুবই ছোট ছোট সামান্য কারণে অনেক স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয় আমি বলব আপনি যদি খুবই অশান্তিতে থেকে থাকেন তাহলে কিছুদিনের জন্য একা ঘুরতে যেতে পারেন তাহলেও আপনার মনটা ফ্রেশ হবে দেখবেন কয়েক দিন পরে আবার আপনার বউ বা স্ত্রীর প্রতি একটি আকর্ষণ ফিরে আসবে বা আপনার স্ত্রী ও আপনার প্রতি একটি আকর্ষণ চলে আসবে।

স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিবে এবং একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য কি কি আইন বা কারণ দেখাতে পারবে সকল বিষয়েই আলোচনা করেছি একই সাথে একজন স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে কিভাবে তালাক দিবে বা তালাক দেওয়ার নিয়ম কি সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।

আপনি যদি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের উপরের দিকে সকল বিষয়গুলো পড়তে পারেন আশা করি আপনি আপনার মনের সকল প্রশ্নের উত্তর উপরের দিক থেকেই পেয়ে যাবেন।

ইসলামে তালাক দেওয়ার নিয়ম

যেহেতু আপনি বাংলায় এই প্রতিবেদনটি পড়ছেন তাহলে ধরে নিচ্ছে আপনি একজন বাঙালি আর আমরা উপরের দিকে যতগুলো নিয়ম আলোচনা করেছি সবগুলোই ইসলামের দৃষ্টিতে রেখে এবং ইসলামের আইন অনুযায়ী তালাকের নিয়ম গুলোই উপরের দিকে আলোচনা করা হয়েছে।

তাই আপনি যদি google এ খুঁজে থাকেন ইসলামে তালাক দেওয়ার নিয়ম কি তাহলে উপরের দিকে যতগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং ইসলামে তালাক দেওয়ার নিয়ম কত সালে চালু করা হয়েছে সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে আপনি চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।

প্রবাস থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা প্রবাসে থাকেন কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে আবার কয়েকদিন পরে প্রবাসে চলে যান কিন্তু স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব থাকার কারণে অনেক সময় দেখা যায় স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে একটি দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় আর এই দ্বন্দ্বের জন্য অনেকেই তালাক দিতে চায় তার স্ত্রী কে।

কিন্তু প্রবাসে থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম কি সেই সম্পর্কে অনেকেও জানতে চায় আমাদের কাছে আসলে আপনি যদি প্রবাসী থেকে তালাক দিতে চান এটি আপনার খুবই বোকামি কাজ হবে কারণ আপনি এত দূরে বসে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া মোটেও কাম্য নয়।

কারণ অনেক সময় দেখা যায় স্বামী বা স্ত্রী যদি একই জায়গায় চলে আসে তাহলে তাদের মনের টানে তাদের যত দ্বন্দ্ব সব ভুলে যায় এজন্য আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে তালাক দিতে চান তাহলে একবারের জন্য হলেও দেশে এসে সরাসরি তার সাথে কথা বলে তালাক দেওয়াটাই আমি শ্রেয় বলে মনে করি।

ডিভোর্স (তালাক) দিতে কত টাকা লাগে

আসলে ডিভোর্স বা তালাক দিতে কত টাকা লাগবে এটা বলা যাচ্ছে না কারণ ডিভোর্স দিতে তেমন টাকার প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র নোটিশ খরচ এবং যদি ইউনিয়নকে কাউন্সিলর বা ইউপি চেয়ারম্যান অথবা মেয়র কর্তৃক সালিশ বসানো হয় তাহলে তাদের সালিশের মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার খরচ সহ হালকা-পাতলা কিছু খরচ ছাড়া তেমন কোন টাকা ব্যয় করতে হয় না।

ডিভোর্স পেপার ছবি 2023

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা এখনো পর্যন্ত ডিভোর্স পেপারের ছবি দেখেননি বা ডিভোর্স পেপার দেখতে কি রকম হয় অথবা লিখিত ডিভিস পেপার কেমন সেটি জানার জন্য গুগলে ডিভোর্স পেপার এর ছবি লিখে সার্চ করেন কিন্তু সঠিক বুঝতে পারে ছবি খুঁজে পান না তাই আপনাদের জন্য একটি ডিভোর্স পেপারের ছবি আমরা নিচে প্রদান করলাম এখান থেকে আপনি ডিভোর্স পেপারের ছবিটি দেখে নিতে পারেন।

ডিভোর্স পেপার ছবি 2023
ডিভোর্স পেপার ছবি 2023

মন্তব্য:

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের আজকের আর্টিকেলে ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম, তালাক দেওয়ার নিয়ম সহ আরো অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

আর্টিকেলটি শেষ করার আগে একটি কথাই বলবো আপনি যদি আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে তালাক দিতে চান তাহলে অবশ্যই কিছুদিন ভাববেন অনেকদিন সময় নিবেন কারণ একটি বিয়ে সারা জীবনের জন্য মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে আবার একটি ডিভোর্স বা তালাক একটি মানুষের জীবনে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে।

তাই একটি ডিভোর্স দেওয়ার আগে অবশ্যই হাজারবার হলেও ভেবে নিবেন যে আপনি ডিভোর্স দিবেন কিনা আর আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের যতগুলো লেখা রয়েছে সবই অন্য জায়গা থেকে কালেক্ট করা তাই কোন জায়গায় ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন আমরা সেটি আপডেট করে দিব।

তাই এখানে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং যেখানে ভুল হয়েছে সে বিষয়টি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন বা আমাদের অফিসিয়াল মেইল দেওয়া রয়েছে সেখান থেকেও আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা যথাসম্ভব আর্টিকেলটি আপডেট করে দিব।

এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন মন্দ হতে বিরত থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.8 / 5. Vote count: 2705

No votes so far! Be the first to rate this post.

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Tell us how we can improve this post?

Leave a Comment