হ্যালো বন্ধুরা আজ আমরা কথা বলব বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব সম্পর্কে। আপনি যদি জলবিদ্যুৎ সম্পর্কে না জেনে থাকেন বা এর প্রভাব গুলো কি কি হতে পারে সেই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আপনি হয়তো নিশ্চয়ই জানেন যে বাংলাদেশ প্রায় ৪০ টার মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাওয়ার কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউজ রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে কয়েকটি রয়েছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর এই পানি ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা বিদ্যুৎ পেয়ে থাকি বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকি।
আরো পড়ুনঃ কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়?
আর এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবহারের ফলে যেমন আমরা সুবিধা পাচ্ছি ঠিক তেমনি কিছু অসুবিধাও আমাদের হয়ে থাকে তাই বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব কতটুকু সে বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর এজন্যই মূলত আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে আর আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়টি অনেক সময় দেখা যায় আমাদের পরীক্ষার প্রশ্নতে ও অথবা ভাইভা বোর্ডেও করা হতে পারে। তাই এটা জানা আপনার জন্য প্রয়োজন। চলুন তাহলে এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব
বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় প্রভাব হচ্ছে বাঁধ ধ্বসে পড়া, এবং স্বল্প গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ও ভূমিকম্পের ঝুঁকি।
আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম কোনটি?
চলো তাহলে আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এই প্রভাব গুলো সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব যে কেন বাঁধ ধসে পড়া এবং স্বল্প গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয় অথবা ভূমিকম্পের ঝুঁকি কেন হয়।
পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব বাঁধ ধ্বসে পড়া
বাঁধ ধসে পড়া পরিবেশের উপর খুবই খারাপ একটি প্রভাব ফেলে কারণ নদীমাতৃক যে এলাকা গুলো রয়েছে তাদের জন্য বাঁধ ধোসা করা যে কতটা কষ্টকর সেটা সেই বুঝে যে কিনা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করে।
আর এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র যেখানে রয়েছে সেখানে যদিও সেটা হলেও দূরত্বে মানুষের বসবাস তারপরেও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী জায়গাগুলো যতই শক্তিশালী বাঁধ দেওয়া হোক না কেন তার পরেও এদের একটি ঝুঁকি রয়ে যায়।
আর এজন্য বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পরিবেশের বাঁ ধ বাড়ার জন্য অন্যতম কারণ হতে পারে তবে আমরা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ সুবিধা ভোগ করছি তার থেকে খুবই সামান্য পরিমাণ ে ক্ষতি হচ্ছে।
আর তাই বাঁধ ধস্যু করা এই বিষয়টি তেমন একটা সরকারের মাথায় নেওয়া হয়নি আর এজন্য মূলত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বাঁধ ধ্বংস করা বিষয়টি খুবই সামান্য বলে মনে হয়।
বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব স্বল্প গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন
যেহেতু এটি একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে বা জলবিদ্যুৎ তৈরীর সময় তেমন একটা জ্বালানি খরচা হয় না আর এজন্য সেখান থেকে খুবই কম পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় আর তাই খুবই স্বল্প গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়।
আর এই স্বল্প গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হওয়ার কারণে অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদেরকে অনেক সুবিধা দিচ্ছে কারণ এতে বায়ু দূষণের সমস্যা খুবই কম হচ্ছে আর এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এটি একটি খুবই ভালো দিক যে এখান থেকে স্বল্প গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয়।
কম কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হওয়ার কারণে পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব খুবই সামান্য পরিমাণে হয়ে থাকে আর এজন্যই স্বল্প গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব, ভূমিকম্পের ঝুঁকি
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। বর্তমান সময়ে ভূমিকম্প খুবই ভয়ংকর এবং দুঃখজনক একটি দুর্যোগ যা একবার যদি কোন দেশের উপরে আক্রমণ করে তাহলে সে দেশকে একদম ছন্য-বিচ্ছন্ন করে ফেলে।
একটি দেশের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র যেমন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাহায্য করে এবং দেশকে উন্নতশীল করতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে হতে পারে দেশের জন্য একটি অকল্যাণকর কেন্দ্র। কারণ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাবে ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়।
তবে যেহেতু বর্তমান সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা খুবই বেশি তাই এই ভূমিকম্পের চিন্তা না করেই বাংলাদেশ সরকার সহ যে কোন দেশেই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে তবে আমরা যদি একটু পিছনের দিকে দেখি যে জাপানের প্রতিবছরে ই ভূমিকম্পের কথা শোনা যাচ্ছে।
আর জাপানের যেসব ভূমিকম্প হচ্ছে সেগুলো খুবই বড় ধরনের ভূমিকম্প গত বছরে জাপানের এক ভূমিকম্পে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ জনের মতো লোক মারা গিয়েছে আর এই বিষয়টি খুবই দুঃখজনক একটি বিষয়।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা
জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি কম খরচে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এবং এটি খুবই দীর্ঘমেয়াদি একটি কেন্দ্র হয়ে থাকে কারণ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এমন একটা সমস্যার সম্মুখীন হয় না।
বাংলাদেশে এখনো অনেক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে যেগুলোর বয়স প্রায় ৫০ বছর থেকে ১০০ বছরের কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে আর তাই বুঝতে পারছেন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কেমন টেকসই এবং শক্তিশালী ও পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে।
আর যেহেতু এই কেন্দ্রগুলো খুবই দীর্ঘমেয়াদী এবং কোন ধরনের জ্বালানি খরচ ছাড়াই বা এখানে জ্বালানি খরচ খুবই সামান্য পরিমাণে শুধুমাত্র যেই মেশিন এর মাধ্যমে জলবিদ্যুৎটা তৈরি করা হয় সেই মেশিনটি চালানো ছাড়া অন্য কোন ধরনের জ্বালানির প্রয়োজন হয় না।
তাই মূলত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে খুবই কম পরিমাণ ে জ্বালানির খরচ হয় আর যত জ্বালানি খরচ কম হবে ততই বাংলাদেশের টাকা বাঁচবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হবে তাই বাংলাদেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।\
বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব এই বিষয়ে আমাদের মন্তব্য
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব সম্পর্কে সম্পূর্ণ একটি গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনাদের এই গাইডলাইনটি খুবই পছন্দ হয়েছে।
প্রতিটি জিনিস বা প্রতিটি বিষয়ের এই যেমন ভালো দিক থাকে ঠিক তেমনি তার একটি খারাপ দিক থাকে আর তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র যেমন আমাদের দেশের জন্য একটি কল্যাণকর কাজ ঠিক তেমনি এর মাধ্যমে হয়তো খুবই সামান্য পরিমাণে কিছু অসুবিধা হয়ে থাকে দেশের।
তবে যেহেতু বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের খারাপ প্রভাব খুবই কম তাই এ বিষয়টি নজরে না রেখে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভালো বিষয় দিক বা কি কি বিষয় আমরা সুবিধা পাচ্ছি এই বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
পরিবেশে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলের যদি আপনাদের কোন দ্বিমত বা মতামত হতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।