আপনি কি একজন বেকার শিক্ষিত যুবক? টাকার অভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না.? চিন্তার কোন কারণ নেই বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে চালু হলো বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ যা প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বেকার যুবকদের জন্য দিবে স্বল্প পরিসরের লোন।
তাই আপনি যদি একজন বেকার যুবক হয়ে থাকেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর লোন বাংলাদেশ হতে পারে আপনার জন্য একটি নতুন ব্যবসার পথ এখান থেকে আপনি স্বল্প মুনাফায়ে লোন নিয়ে যেকোনো ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারেন এবং অধিক লাভবান হতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল সিরিয়াল নাম্বার
আপনারা যারা এখনো বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ বা প্রধানমন্ত্রী লোন সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্যই মূলত আমাদের আজকের এই নিবন্ধনটি তৈরি করা হয়েছে আজকের এই নিবন্ধনের মাধ্যমে বাংলাদেশি যুবকরা কিভাবে প্রধানমন্ত্রী লোন নিবে এর সুবিধা এবং লোন পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
প্রধানমন্ত্রী লোন কি?
প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার থেকে স্বল্পনা হয় শিক্ষিত যুবককে লোন দিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী কার্যক্রম আরো উন্নতির দাড়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই মূলত এই লোন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
সরকারের এসডিজি (SDG) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করার উদ্দেশ্য মূলত এই প্রধানমন্ত্রী লোন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশের জিডিপিতে যুবকদের অবদান বৃদ্ধি করার জন্য এবং বাংলাদেশ শিক্ষিত বেকার যুবকদের জিডিপিতে অবদান দেখানোর জন্য এই লোন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব
নারীদের বিশেষ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এবং নারীরাও যাতে বসে না থেকে বাংলাদেশের জিডিপি উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে পারে তারই ধারাবাহিকতায় এই লোন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ এর বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা সমূহ
যেহেতু আপনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক সেহেতু আপনার প্রধানমন্ত্রী লোন সম্পর্কে জেনে শুনে বুঝে এই লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করা দরকার চলুন আমরা এই লোন এর বৈশিষ্ট্যসমূহ সম্পর্কে জেনে আসি।
- এই লোন আমানত বিহীন
- এই ঋণের মুনাফা হার ৯% (সরল সুদ)
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সর্বনিম্ন ০৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ০৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
- এই ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) বছর।
- প্রধানমন্ত্রী লন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন http://www.kb.gov.bd/
প্রধানমন্ত্রী লোন পাওয়ার যোগ্যতা সমূহ
যেহেতু এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য চালু করা হয়েছে এবং এটি একটি সরকারি লোন পদ্ধতি তাই এর কিছু ক্রাইটেরিয়া রয়েছে চলুন তাহলে আমরা দেখে নিই প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন হবে।
আরো পড়ুনঃ কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়
- উদ্যোক্তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;
- শাখার অধিক্ষেত্রের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। স্থায়ী বাসিন্দা না হলে শাখার অধিক্ষেত্রের একজন স্থায়ী বাসিন্দাকে ঋণের গ্যারান্টার হতে হবে।
- বেকার/অর্ধ বেকার হতে হবে
- শিক্ষাগত যোগ্যতা জেএসসি/সমমান হতে হবে।
- বয়স সাধারণত ১৮ হতে ৪৫ বছর হতে হবে। তবে পুরাতন ঋণগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য; উদ্যোক্তাকে ইকুইটি বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- প্রকল্প পরিচালনার বিষয়ে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
- সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে;
- ঋণ ব্যবহারের যোগ্যতাসহ ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ও আর্থিক আচরণে সুনামের অধিকারী হতে হবে;
- অন্য কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপী হলে ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না;
- ঋণ নীতিমালার অন্যান্য নিয়ম অনুসরণে সক্ষম হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী লোন বিতরণ পদ্ধতি
যেহেতু এটি একটি সরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সেতু এই ঋণ বিতরণের কিছু পদ্ধতির রয়েছে এবং কিভাবে এই ঋণ দেওয়া হবে সেটি নিচ থেকে জানুন। ঋণ বিতরণ পদ্ধতি ; মঞ্জুরিকৃত ঋণ / A/C Payee / Order চেকের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী লোন পরিশোধ পদ্ধতি
ঋণ পরিশোধ পদ্ধতি : প্রকল্প/প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য ও বাজারজাতকরণ ইত্যাদি বিবেচনা করে ঋণ পরিশোধ-সূচী মাসিক। ত্রৈমাসিক/ষান্মাসিক/বাৎসরিক নির্ধারণ করতে হবে।
এখানে ঋণ পরিশোধ ত্রৈমিতিক হিসেবে বোঝানো হয়েছে প্রতি মাসে আপনি এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন আবার ষান্মাসিক বলতে বোঝানো হয়েছে আপনি প্রতি ছয় মাস অন্তর এই রেল পরিষদ করতে পারবেন এবং সবশেষে বাৎসরিক ভিত্তিতে এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।
- প্রকল্পের ধরণ, প্রশিক্ষণের মেয়াদ, প্রকল্প পরিচালনার সামর্থ, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিবেচনা করে সর্বোচ্চ ৫.০০ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ প্রদান
- ঋণের নির্ধারিত মেয়াদের অর্ধেক সময় অতিক্রান্ত না হলে পরবর্তীতে ক্ষণ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য হবে না
একজন গ্যারাটার সর্বোচ্চ ০২ (দুই) জন নিয়মিত গ্রহীতার গ্যারান্টার হতে পারবেন । সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুসরণ সাপেক্ষে গ্যারান্টার হতে পারবেন । সোশ্যাল ভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (SDF)-এর গ্রাম ভিলেজ ক্ৰেটি অর্গানাইজেশন/গ্রাম প্রদান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ এর চার্জ ডকুমেন্ট
ঋণের চার্জ ডকুমেন্ট : ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন 63% ঋণগ্রহীতা ও গ্যারান্টার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ডিপি নোট/ডবল পার্টি “ডিপি নোট, ঋণের ক্ষেত্রে: প্রকল্প/প্রতিষ্ঠানের সকল অস্থাবর সম্পত্তি/মালামাল ব্যাংকের • নিকট হইপোথিকেশন রাখার জন্য ঋণগ্রহীতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হাইপোথিকেশন ডিভ; ঋণগ্রহীতার সম্পত্তির মূল দলিল/দলিলপত্র জমা রাখার জন্য ঋণগ্রহীতার স্বাক্ষরিত মারকলিপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অথবা তৃতীয় পক্ষের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি/গ্যারান্টারের সম্পত্তির মূল দলিল। দলিলপত্র জমা রাখার জন্য তাঁর স্বাক্ষরিত মারকলিপি ।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ নিতে যোগাযোগ ও ঠিকানা
- ঠিকানা: ১, রাজউক এভিনিউ, ঢাকা-১০০০
- ফোন: 02-47111141
- ফোন: ১৮০০১৮০১১১১
- ফ্যাক্স: 02-9557594
- ইমেইল [email protected]
ধন্যবাদ
টাকা লাগবে বিকাশ 01988432956
আমরা এখান থেকে কোন টাকা প্রদান করি না আপনি লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করুন
কত টাকা লাগবে?
লোন এর জন্য এপ্লাই করুন
আমার ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন সাহায্য করুন
vai amra kono lon dai na
আমি একটা ব্যবসায়ি আমার একটা পারছোনাল লোন লাগবে আমার সব ধরনের ডুগমেন্ট আছে
লোনের জন্য অনলাইনে আবেদন করুন (ধন্যবাদ)