ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার সহজ নিয়ম

4.8
(2783)

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আপনারা যারা পূর্বে ভোটার আইডি কার্ড করেছেন হয়তো তাদের ভোটার আইডি কার্ডে অনেকেরই ভুল রয়েছে তাই আপনারা অনেকেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম জানতে চেয়েছেন কিন্তু অনেকেই হয়তো কিভাবে এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে হয় সেই সম্পর্কে অবগত নয় তাই আজ আমি আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি নিয়ে এসেছি।

আপনারা যারা পূর্বে ভোটার আইডি কার্ড করতে গিয়ে আপনাদের নাম ছবি বাবার নাম মায়ের নাম জন্ম তারিখ সহ আরো যেকোনো জায়গায় হয়তো ভুল করে ফেলেছেন তাই ইউনিয়ন কাউন্সিলে না গিয়ে কিভাবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায় এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চায় আর তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে? এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে? 

আরো পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করার নিয়ম

একই সাথে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত এই সকল বিষয়ে একটি আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করব তাই আপনারা যারা এই বিষয় জানতে ইচ্ছুক তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

Table of Contents

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

NID/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ২ টি পদ্ধতিতে করা যায় ১. নিকটবর্তী এলাকার উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম পূরণ করে এবং ২. অনলাইনে services.nidw.gov.bd/ এখানে রেজিস্ট্রেশন করে সঠিক তথ্য দিয়ে এনআইডি সংশোধন ফি বিকাশ/নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করে রশিদ ও আবেদন পত্র জমা দিলেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কার্যক্রম শুরু হবে।

আমাদের অনেকেরই ভোটার আইডি কার্ডের নাম ইংরেজি বা বাংলায় যেখানেই হোক অনেক সময় দেখা যায় ভুল হয়ে যায় অথবা বাবা মায়ের নাম ভুল হয়ে যায় আবার অনেক সময় এমনও দেখা যায় যে জন্ম তারিখ ও ভুল দেওয়া হয়েছে যেমনটা আপনার স্কুল কলেজে অথবা জন্ম নিবন্ধন কার্ডে দেওয়া হয়েছে তার থেকে আলাদা দেওয়া হয়েছে আপনার ভোটার আইডি কার্ডে আর আপনি যদি এই বিষয়টি সংশোধন করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক

কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে পারেন এখন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা খুবই সহজ কারণ বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ যুগে এনআইডি বা ভোটার আইডি কার্ড এখন খুব সহজেই অনলাইনে সংশোধন করা যায় তাই আপনারা যারা অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তারা নিচের বিষয়গুলো সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আমরা স্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিত বুঝিয়ে দেবো আপনাদের।

নিচের দিকে আমরা দুটি ফটো দিয়েছি এখানে আপনি দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো ঘর রয়েছে এবং এই বক্সগুলো আপনাকে ফিলআপ করতে হবে আমরা এই ফর্ম দুইটির ক্লিয়ার লিংক উপরে দিয়ে দিয়ে এসেছি ওখান থেকে চাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন এবং এই ফর্ম দুটিও পূরণ করলে এবং এটি নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিয়ে নির্ধারিত ফ্রি প্রদান করলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন কার্যক্রম শুরু হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাইট services.nidw.gov.bd এখানে ফর্ম নাম্বার সঠিক জন্ম তারিখ ও ঠিকানা প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন এবং লগইন করে এডিট অপশন থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংশোধন করে বিকাশ রকেট নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফ্রি প্রদান করুন এবং রিসিট ডাউনলোড করে ফরমের পিছনে পিন আপ করে জমা দিলেই সংশোধন কার্যক্রম শুরু হবে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই পদ্ধতি

এবার আমরা কয়েকটি স্টেপের মাধ্যমে দেখিনিবো কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করা যায় এবং কিভাবে পেমেন্ট করতে হয় সে সফল বিষয়গুলো বিস্তারিত দেখব চলুন তাহলে দেখে নেই।

ধাপ ১: ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে প্রথমেই services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে যাবেন এখানে গিয়ে প্রথমেই আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং সম্পূর্ণভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে এই ওয়েবসাইটের হোমপেজ থেকে আপনি নিচের দিকে লগইন অপশন দেখতে পাবেন সেখান থেকে আপনার আইডি লগইন করে নিন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

ধাপ ২: প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করুন

ভোটার আইডি বা এন আইডি কার্ড এর প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করতে আপনার একাউন্টে লগইন করে প্রোফাইল অপশন এ ক্লিক করুন এবং ডান পাশে কর্নারে এডিট নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন যেমনটা আমরা ফটোতে দেখিয়েছি। এবার এডিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার নাম বাংলা ও ইংরেজি রক্তের গ্রুপ, লিঙ্গ, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান এই অপশনগুলো প্রথম বক্সে দেখতে পারবেন।

এবং দ্বিতীয় বক্সে প্রথমেই পিতা বা বাবার তথ্য: পিতার নাম (বাংলা), পিতার এনআইডি, মৃত্যুর গন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং নিচের দিকে মাতা বা মায়ের তথ্য: মাতার নাম (বাংলা), মাতার এনআইডি, মৃত্যুর সন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সবশেষে স্বামী/স্ত্রীর তথ্য: স্বামী/স্ত্রীর নাম (বাংলায়) স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি, মৃত্যুর সন প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

এই সকল তথ্য দেখতে পাবেন এবং এই তথ্যগুলোর কর্নারে একটি খালি বক্সের মতন টিক মার্ক বা চেকবক্স দেখতে পাবেন আপনি যেই নামটি পরিবর্তন করতে জানবা যে তথ্যটি পরিবর্তন করতে চান সেই তথ্যের কর্নারে চেকবক্স ক্লিক করলেই আপনার নিচে আরেকটি বক্স ওপেন হবে এবং সেখানে আপনি আপনার পুরনো নাম বাতিল করে নতুন কি ভুল সংশোধন করবেন এবং আপনার সংশোধনকৃত তথ্য সেখানে স্থাপন করুন।

এবার আপনার সঠিক তথ্য দেওয়া হলে (পরবর্তী) লেখা একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফ্রি প্রদান করতে হবে এবার আপনি যেই সমস্যাটি সমাধান করেছেন বা আপনার যেই ভুলটি সংশোধন করেছেন সেই অনুযায়ী আপনাকে ফ্রি প্রদান করতে হবে আমরা ছোট্ট একটি বক্সের মাধ্যমে আপনাকে কোন তথ্য এডিট করতে কত টাকা লাগবে সেটি বলে দিচ্ছি নিচের বক্সটি দেখুন। এখানে বক্স দিতে হবে

ধাপ ৩: জাতীয় পরিচয় পত্র ফি প্রদান

আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পরে আপনাকে নির্ধারিত পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে এবার আপনাকে পরবর্তী ধাপে কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং অথবা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের অনলাইন ফ্রি প্রদান করতে পারবেন চলুন তাহলে দেখে কোন কোন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি ফ্রি প্রদান করতে পারবেন।

  • ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
  • ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
  • ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
  • মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড।
  • বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড।
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

উপরের দিকে দেওয়া সবগুলো মোবাইল ব্যাংকিং এবং এজেন্ট ব্যাংকিং সহ যে কোন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন সংশোধন ফ্রি জমা দিতে পারবেন তাই আপনার কাছে যদি উপরে দেওয়া যে কোন একটি ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে থাকে তাহলেই খুব সহজেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফ্রী জমা দিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ আইডি কার্ড বের করার নিয়ম ২০২৩

চলুন এবার দেখে নিবো কিভাবে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি জমা দেওয়া যায় বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং থেকে সংশোধন ফ্রি জমা দিতে প্রথমে বিকাশ অ্যাপসে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন এবং ম্যানুবার থেকে (পে বিল) অপশনে ক্লিক করুন। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

এবার নিচের দিকে দেখতে পাবেন সরকারি ফি (NID Service) আমি ক্লিক করুন এবং সরকারি ফি অপ্সানে ক্লিক করলেই আপনাকে নতুন একটি ইন্টারফেজে নিয়ে যাবে যেমনটি নিচের ফটোতে দেখতে পাচ্ছেন। এবার আপনি আপনার আবেদন এর ধরন নির্বাচন করুন আবেদন  এর ধরন কয়েকটি পদ্ধতি হয়ে থাকে যেমন নিচে দেখুন:

  • NID Info Correction
  • Other Info Correction
  • Both Info Correction
  • Duplicate Regular
  • Duplicate Urgent

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

এখান থেকে আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের যে কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে NID Info Correction অপশনটি সিলেক্ট করুন।

এবার আপনার এন আই ডি নাম্বার বসিয়ে পরবর্তী স্টেপে ক্লিক করলেই নতুন একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত টাকা সেটি আপনার সামনে শো করবে তাই নির্ধারিত পরিমাণ টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে ব্যালেন্স রেখে পরবর্তী ধাপে ক্লিক করে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন করুন। সঠিকভাবে পেমেন্ট সম্পন্ন করা হলে বিকাশ থেকে একটি রিসিট পাবেন আপনি সেই রিসিট ডাউনলোড করে নিন এবং সেটি প্রিন্ট করে নিয়ে আসুন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

ধাপ ৪: ডকুমেন্ট আপলোড ও প্রমাণপত্র সাবমিট

এবার আপনাকে আবার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং প্রথমে আপনি যেই সমস্যাটি সমাধান করতে চান বা সমাধান করার জন্য এডিট করেছেন যেমন সেটি হতে পারে আপনার নাম বাবার নাম মায়ের নাম স্ত্রী নাম বা আপনার বর্তমান ঠিকানা অথবা স্থায়ী ঠিকানা আপনি যেকোনো একটি পরিবর্তন করলে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।

আপনার ডকুমেন্ট গুলো হতে পারে কয়েক ধরনের চলুন তাহলে আমরা এবার দেখে আসি কি কি ডকুমেন্ট আপলোড করা লাগতে পারে।

  • ADMIT CARD
  • AFFIDAVIT
  • AFFIDAVIT 02 APPLICATION
  • BIRTH CERTIFICATE
  • BS NID
  • DATA ENTRY PROOF COPY
  • DEATH CERTIFICATES DIVORCE LETTER
  • DIVORCE LETTER_02
  • DRIVING LICENSE
  • FMNID
  • GO
  • HSC
  • INVESTIGATION REPORT
  • LAND DOCUMENT
  • LAND DOCUMENT.02
  • MAIN APPLICATION MARRIAGE CERTIFICATE

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

উপরের দিকে আমরা যে কয়টি কাগজের নাম দিয়েছি আপনি চাইলে এখান থেকে যেকোনো একটি কাগজ বা যেই কয়টি কাগজ তারা চায় সেই কয়টি কাগজের মধ্যে সেই কাগজগুলো স্ক্যান করে রাখবেন এবং স্ক্যান কপিগুলো আপনার ফোনে বা কম্পিউটার রেখে সেগুলো আবার আপলোড করতে হবে বা আপলোড করেই দিন।

ধাপ ৫: আবেদন সম্পন্ন করুন

এটাই সবচেয়ে শেষ ধাপ এই ধাপে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন সম্পন্ন করুন এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং আপনি আপনার প্রোফাইলে যখনই ঢুকবেন তখনই একটি নিচের ফটোতে দেওয়া ইন্টারফেস দেখতে পাবেন যেখানে লেখা থাকবে (আপনার একটি অ্যাপ্লিকেশন পেন্ডিং রয়েছে) এবার আপনার যদি সংশোধন সম্পন্ন হয়ে যায় তাহলে আপনার মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন 

আপনি কিভাবে অনলাইনে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন সে বিষয়ে আমরা উপরের দিকে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনারা যারা আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডের সমস্যা নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন তাদের চিন্তা করার আর কোন কারণ নেই।

এখন থেকে আপনারা আপনাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমেই চাইলে ভোটার আইডি কার্ডের সকল সমস্যার সংশোধন করে নিতে পারেন তাই কিছু পরিমাণ ফি প্রদান করে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে পারেন খুব সহজেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে।

আমরা উপরের দিকে যেই পদ্ধতি আলোচনা করেছি সেই পদ্ধতি অবলম্বন করলে একটি পদ্ধতির জন্য মিস না হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন করার কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের মেসেজ চলে আসবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে বলা হয়েছে NID/ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন। তবে সংশোধনের সময় নির্ভর করে আবেদনের ধরন ও ক্যাটাগরির উপর। নির্ধারিত ডকুমেন্ট ও আবেদন ফি প্রদান করলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পন্ন হয়ে যায়।

আসলে আমরা যারা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে দেই তারা সবসময়ই চিন্তিত থাকি যে যেহেতু আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি তাহলে কবে আমাদের সংশোধন সম্পন্ন হবে বা কত দিন সময় লাগতে পারে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হতে এই বিষয়ে আমরা অনেকেই অনেক বেশি চিন্তা করি।

আসলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড কতদিনে সম্পন্ন হবে এটা নির্ভর করবে আপনি আপনার কোন ডকুমেন্ট সংশোধনের জন্য দিয়েছেন এবং এক একটি ডকুমেন্ট সংশোধনের জন্য এক এক রকম সময় প্রয়োজন হয় তবে যেহেতু আমরা বলে এসেছি নির্বাচন কমিশন অফিস থেকেই বলে দেওয়া হয়েছে ৪৫ দিন সময় তবে এত সময় লাগার কথা না ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার সংশোধন সম্পন্ন হলে আপনার ফোনে মেসেজ চলে আসবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত

জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি নির্ভর করে আবেদনের ধরন ও ক্যাটাগরির উপর তবে গ্রাহকের নাম, জন্ম তারিখ, বাবা মায়ের নাম পরিবর্তনের জন্য ২৩০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। এবং নির্ধারিত ফি বিকাশ, নগদ, রকেট, ওকে ওয়ালেট ও টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।

এবং নির্ধারিত ফি প্রদানের ৩০ মিনিট পর আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। উপরের দিকে আমরা ২৩০ টাকা সংশোধন ফ্রি বলেছি আসলে আমরা এর আগেও বলেছি যে আপনার আবেদনের ধরন ও ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফ্রি নির্বাচন করা হবে চলুন আমরা একটি চাট দেখে নেই যেখানে আপনার কোন ধরণের আবেদন সংশোধন করতে কত টাকা লাগবে তার সম্পর্কে জেনে নিন। ছবি দিতে হবে

জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন

জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ হবে তা প্রদানের তারিখ হতে ১৫ (পনের) বছর। জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে বা পরে তা নবায়নের জন্য প্রত্যেক নাগরিককে নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি প্রদান সাপেক্ষে কমিশনের নিকট আবেদন করতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন আবেদন ফি 

  • সাধারণ আবেদন ১০০ টাকা ৩০ কার্যদিবস
  • জরুরি আবেদন ১৫০ টাকা ৭ কার্য দিবস

হারানো বা নষ্ট হওয়ার কারণে নূতন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা ভোটার নম্বর উল্লেখ করে যে কোন থানায় জিডি করতে হবে | এবং জিডির মূল কপি সংযুক্ত করে নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হবে।

প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে 

  • সাধারণ আবেদন ২০০ টাকা ৩০ কার্যদিবস
  • জরুরি আবেদন ৩০০ টাকা ৭ কার্য দিবস

দ্বিতীয়বার আবেদনের ক্ষেত্রে

  • সাধারণ আবেদন ৩০০ টাকা ৩০ কার্যদিবস
  • জরুরি আবেদন ৫০০ টাকা ৭ কার্য দিবস

পরবর্তী যে কোন বার আবেদনের ক্ষেত্রে

  • সাধারণ আবেদন ৫০০ টাকা ৩০ কার্যদিবস
  • জরুরি আবেদন ১০০০ টাকা ৭ কার্য দিবস

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন 

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের সময় প্রত্যেক নাগরিক ফরম-২ এ যেসব তথ্য প্রদান করেন সেসব তথ্য হতে বাংলায় ও ইংরেজিতে নিজের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ও নিজে স্বাক্ষর ইত্যাদি তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রে লিখা হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রে এ সব তথ্যের সংশোধনকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন” হিসেবে গণ্য।

  • প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা
  • দ্বিতীয়বার আবেদনের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা।
  • পরবর্তী যে কোন বার আবেদনের ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা

তথ্য-উপাত্ত সংশোধন

জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লিখিত তথ্যসমূহ ছাড়া ফরম-২ এ লিখিত অন্যান্য তথ্যসমূহ সংশোধন করাকে “তথ্য-উপাত্ত সংশোধন” হিসেবে গণ্য করা হবে।

  • প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা
  • দ্বিতীয়বার আবেদনের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা
  • পরবর্তী যে কোন বার আবেদনের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড

আমরা প্রথমেই বলে এসেছি যে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম পূরণ করে ইউনিয়ন পরিষদ বা ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিসে জমা দিতে হবে আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য ফরম খুঁজেছেন তারা নিচের দিকে দুইটি ফর্ম দেওয়া হয়েছে এই ফর্ম দুটি ডাউনলোড করে আবেদন করতে পারেন। 

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩ জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড এর সমস্যা সমাধানের জন্য বা ভোটার আইডি কার্ডের যেকোনো সমস্যার সংশোধন করতে চান তাদের জন্য কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে আসলে আপনারা যারা ডকুমেন্টগুলো সম্পর্কে না জানেন তারা উপরের দিক থেকে দেখে আসতে পারেন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে যেগুলো ইংলিশে দেওয়া আছে।

তাছাড়াও ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আপনার নির্ধারিত পরিমাণ ফিয়ের টাকা থাকা লাগবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলোর মধ্যে যেকোনো ডকুমেন্ট চাইতে পারে সেই ডকুমেন্টগুলো প্রদান করতে হবে এবং আপনার সকল সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড প্রয়োজন হতে পারে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন অনলাইন আবেদন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন এই বিষয়ে আমরা উপরের দিকে খুবই বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি আপনি চাইলে উপরের দিকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন যে কিভাবে অনলাইনে আবেদন করা যায়।

আমরা কয়েকটি স্টেপের মাধ্যমে খুবই সাধারণ ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন অনলাইনে করবেন এবং কত টাকা আপনার আবেদন ফ্রি কি কি কাগজপত্র লাগবে এসব কিছুই আমরা উপরের দিকে দিয়েছি আপনি চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায়?

আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে নির্ধারিত পরিমাণ ফি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করে আবেদন সম্পন্ন করলে কর্তৃপক্ষ যাচাই করে অনুমতি প্রদান করলে আপনি সংশোধনকৃত আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?

ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে তবে আপনার আবেদনকৃত তথ্য ও আবেদনের ধরণের উপর নির্ভর করবে আইডি কার্ড সংশোধনের সময়।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি ২৩০ টাকা তবে সাধারণ তথ্যের জন্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সবগুলো ফি একসাথে প্রদান করলে ৩৪৫ টাকা প্রয়োজন হবে।

ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?

ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যাবে এই বিষয়ে কোন নির্ধারিত লিমিট দেওয়া হয়নি আপনি যতবার ইচ্ছা ততবার সংশোধন করতে পারবেন তবে একটি তথ্যের জন্য একবার আবেদন করতে পারবেন এবং প্রতিটি তথ্যের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে।

সংশোধনকৃত ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করব?

সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আমাদের আজকের আর্টিকেলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়মজাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে একই সাথে আমরা আরো কয়েকটি বিষয়ে জুড়ে দিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করেছি আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়লে আপনি তার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে যত প্রশ্ন বা পদ্ধতি রয়েছে সবগুলো একটি আর্টিকেলের মধ্যে পেয়ে যাবেন।

আপনাকে অন্য কোন আর্টিকেল করতে হবে না বা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করতে হবে না আমাদের আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে অবলম্বন করতে পারলে আপনি খুব সহজে আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে পারবেন।

আমাদের আজকের আর্টিকেলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম এই বিষয়ে যদি আপনার কোন দ্বিমত পোষণ হয়ে থাকে তাহলে সেটি অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন অথবা আপনার যদি কোন প্রয়োজনীয় প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে সেটিও আমাদের জানাতে পারেন আমরা যথাসম্ভব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

আমরা সব সময় আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং ভোটার আইডি কার্ড রিলেটেড যত তথ্য রয়েছে সবগুলো আমাদের ওয়েবসাইট Teach Bongo 24 এ পেয়ে যাবেন আপনার চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখতে পারেন আশা করি ভাল লাগবে এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 4.8 / 5. Vote count: 2783

No votes so far! Be the first to rate this post.

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Tell us how we can improve this post?

Leave a Comment